গাজীপুরের শ্রীপুরে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)’কে ফেসবুকে আপত্তিকর কটূক্তি করার অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বরমী বাজারের কর্মকারপট্টী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের বরমী ইউনিয়ন সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহ্দী হাসান বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত বাঁধন সাহা (২৬) বরমীবাজার কর্মকার পট্টীর বাবুল সাহার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে বাঁধন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)’কে নিয়ে চরম আপত্তিকর কমেন্টস্ করে। ইংরেজীতে লেখা ওই কটুক্তি সন্ধ্যার পর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নজরে আসে।
আপত্তিকর পোষ্ট মুসলমানদের মারাত্মকভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। কটুক্তিকারী বাঁধনের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শত শত তৌহিদী জনতা বরমী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে।
আরও জানা গেছে, খবর পেয়ে পৃলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে বরমীবাজার থেকে বাঁধনকে গ্রেপ্তার করে। এরই মধ্যে তৌহিদী জনতার বাধার মুখে বাজারের কর্মকার পট্টীতে বরমী বাজার জয়দূর্গা মন্দিনের আয়োজিত মহানামা যজ্ঞানুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবাদুল বারিকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
জানা যায়, ওসি মহম্মদ আবাদুল বারিক বাঁধনের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আশ্বাস দেন। তার দেওয়া আশ্বাসে আন্দোলনকারী তৌহিদী জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
মামলার বাদী মাহদী হাসান বলেন, ‘বাঁধন একটি কুলাঙ্গার। সে মহানবী (সা.)’কে নিয়ে কটুক্তি করেছে। মহানবী (সা.)’কে কটুক্তি করে মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছে সে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, মহানবী (সা.) এক যুবক কটুক্তি করেছে। খবর পেয়ে দ্রুত সময়ে বরমী বাজারে অভিজান চালিয়ে বাঁধনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এরই মধ্যে তৌহিদী জনতা হিন্দুদের একটি যজ্ঞানুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছোটে আসেন। বিক্ষোব্ধ জনতাকে বাঁধনকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চত করা হয়। একই সাথে তার সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করার আস্বাস পেয়ে তৌহিদী জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ তরেন।
এরপর রাত ১১টার দিকে হিন্দুদের যজ্ঞানুষ্ঠান নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন