শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম

শেরপুরে সার পাচারকালে জনতার হাতে আটক

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম

জব্দকৃত সার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জব্দকৃত সার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে ১৫ বস্তা সার বকশিগঞ্জে পাচারের অভিযোগে সারসহ এক ভ্যানচালককে আটক করেছে স্থানীয় জনতা।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ভায়াডাংগা বাজার এলাকায় সারগুলো আটক করা হয়। ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহম্মেদের পরামর্শক্রমে আটককৃত সার বাঘহাতা গ্রামের ইউপি সদস্যের জিম্মায় সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভ্যানচালক শফিক ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাংগা বাজারে অবস্থিত ‘মেঘনা অ্যান্ড বিনা ট্রেডার্স’-এর স্বত্বাধিকারী বিল্লাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার গোডাউন থেকে ১৫ বস্তা ডিএপি সার বকশিগঞ্জ উপজেলার কামালপাট্টি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভ্যানচালককে ভাড়া করা হয়।

সার কেনাবেচার সময় প্রকাশ্যে নয়, আড়ালে গিয়ে বিল্লাল হোসেন তার কাছ থেকে টাকা নেন। ভ্যানে সার তোলার পর দড়ি দিয়ে বাঁধতে চাইলে বিল্লাল হোসেন বাধা দিয়ে বলেন, ‘বাজার এলাকায় বাঁধা যাবে না—দূরে অন্য কোথাও গিয়ে সার বাঁধতে হবে। এরপর ভায়াডাংগা বাজার পার হয়ে বাঘহাতা গ্রামে গেলে স্থানীয় কৃষকদের চোখে পড়ে এবং ভ্যানচালকসহ সারের বস্তাগুলো আটকে রেখে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়।’

এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হেলাল মিয়া, নাদের মিয়া ও মনি মুক্তা বলেন, সার সংকটের কারণে তারা সময়মতো ফসল চাষ করতে পারছেন না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শ্রীবরদী উপজেলা থেকে পাশের বকশিগঞ্জ উপজেলায় সার পাচার করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। এতে প্রকৃত কৃষকেরা বিপাকে পড়ছেন। তারা অবিলম্বে সঠিক তদন্ত করে অবৈধ সার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাকিম মিয়া সার পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এ অভিযোগ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহম্মেদ বলেন, ‘অবৈধ সার মজুত ও পাচারের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান আকন্দ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনা জানার পর সারগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Link copied!