সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

৩ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এলো ভারতীয় পেঁয়াজ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দীর্ঘ ৩ মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হলো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি। রোববার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় পেঁয়াজ বোঝাই প্রথম ট্রাকটি বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে পুনরায় শুরু হয় আমদানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ভোক্তা ও আমদানিকারকদের মধ্যে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে আমদানি বন্ধ থাকলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে দ্রুত অস্থিরতা দেখা দেয়। এ কারণে গত তিন মাসে বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।

গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এতে ভোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়।

একজন আমদানিকারক বলেন, ‘আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহ কমে যায়। এ সুযোগে দালাল-ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। আমদানি শুরু হওয়ায় আশা করছি দুয়েক দিনের মধ্যেই দাম আরও কমে আসবে।’

দেশের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে সরকার গত শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) রাতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। এই সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে।

হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

একজন স্থানীয় ক্রেতা সাহার আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। আজ বাজারে এসে দেখি দাম কমছে। আরও কমলে ভালো হবে।

হিলি স্থলবন্দরের কাস্টম কর্মকর্তা এম আর জামান জানান, রোববার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রথম ভারতীয় পেঁয়াজবাহী ট্রাকটি দেশে প্রবেশ করেছে। বাজারে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে খালাসের কাজও দ্রুত করা হচ্ছে। পেঁয়াজগুলো বাজারে পৌঁছানো গেলে দাম স্থিতিশীল হবে। এজন্য কাস্টম প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রায় ২০ জন আমদানিকারক আইপি (অনুমতি) পেয়েছেন। পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করছে এবং নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খালাসের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা না দিলে এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে।

পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ আশা করছে বাজারে দ্রুত স্বাভাবিকতা ফিরবে। ব্যবসায়ীরাও মনে করছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দাম আরও কমে আসবে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি সচল থাকায় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং পেঁয়াজের মূল্যস্থিতি বজায় থাকবে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!