মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ১১:২৭ এএম

শ্রমিকদের ধর্মঘটে গাজীপুরে পোশাক কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ১১:২৭ এএম

গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা।  ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকায় একটি পোশাক তৈরির কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে কারখানা খুলে দেওয়া এবং তাদের কিছু দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা।

কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার পি এন কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার এক শ্রমিক গত ৭ ডিসেম্বর জরুরি কাজে কারখানা থেকে বের হন। যখন তিনি কাজ শেষ করে ফিরে আসেন, তখন কারখানার কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন, সোমবার, শ্রমিকরা কয়েকজন কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। কোনোভাবেই শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিকেল বেলা শ্রমিকরা চলে যাওয়ার পর রাতেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধের নোটিশ কারখানার প্রধান ফটকে সাটানো হয়।

নোটিশে লেখা রয়েছে, ‘এতদ্বারা পি.এন. কম্পোজিট লিঃ এর সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৭ ডিসেম্বর থেকে কারখানার শ্রমিকগণ কিছু অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করে, অবৈধভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে। চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে এবং অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়, যা অদ্যবধি চলমান। যার ফলে কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। এছাড়াও কারখানার নির্ধারিত রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।’

নোটিশে আরও লেখা রয়েছে, ‘কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আহ্বান জানায় যে যেকোন প্রকার দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব এবং সকলকে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু শ্রমিকগণ কাজে যোগ দিতে বিরত থাকায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী এটি বেআইনী ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ অত্র কারখানার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক আজ মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেন। পরবর্তীতে কারখানা চালুর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

আজ মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কোনাবাড়ী থানা পুলিশ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে কারখানা ম্যানেজার তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘গত ৭ ডিসেম্বর ডিউটি চলাকালীন সময় একজন শ্রমিক কারখানার বাইরে যান। পরে তার সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করলেও তারা কথা শুনে না। গতকাল সোমবারও কাজ বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে কর্তৃপক্ষ আজ সকাল থেকে কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।’

কোনাবাড়ী থানার ওসি খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ এবং থানা পুলিশ রয়েছে। শ্রমিক এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি কিভাবে সমাধান করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

Link copied!