বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচি থেকে আগামী তিন দিনের হরতাল ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আদালতের প্রধান ফটক ও জেলা নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলার ৯টি উপজেলাতেও একযোগে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভ শেষে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা পূর্ণ দিবস হরতাল এবং মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আংশিক হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
নেতারা জানান, হরতালের সময় শহরের দোকানপাট খোলা থাকবে এবং মোটরসাইকেলসহ দুই চাকার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে সরকারি অফিস-আদালত ও বাগেরহাট থেকে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকবে, মহাসড়কে কঠোরভাবে হরতাল পালন করা হবে।
জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব শেখ মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন বাগেরহাটের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। আমরা ইতিমধ্যে হাইকোর্টে রিট করেছি এবং রাজপথেও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কমিশনকে অবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করতে হবে।’
যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ সালাম অভিযোগ করেন, ‘কেবল বাগেরহাটের ওপরই কেন আসন সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? এটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। চারটি আসন পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার না করে, তবে বাগেরহাটের বৃহত্তর স্বার্থে টানা কর্মসূচি দেওয়া হবে।