অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (আ স ম রব) ৫৩তম প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী অংশীদারত্বের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের ওপর যে আস্থা রেখেছিল তার মর্যাদা রাখেনি সরকার। জনগণের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
জুলাই সনদ নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগেই ঐকমত্য কমিশন গণভোটের যে সুপারিশ করেছে তার বিরোধিতা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করার কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সংকট সৃষ্টি করেছে সরকার নিজেই। তারা যে কমিশন বা কমিটি গঠন করেছে, সেখানে গত আট-নয় মাস ধরে নানা সংস্কার ও ঐকমত্যের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ঐকমত্য কমিশনের কয়েকটি বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে অংশ নেব এবং আমাদের ইশতেহারে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করব। জনগণ যদি আমাদের ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়, তবে আমরা সেই বিষয়গুলো পুনরায় সামনে নিয়ে আসব এবং সংসদে পাস করিয়ে দেশের পরিবর্তন ঘটাব।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা মেনে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় দেশের মানুষ। কিন্তু সেই নির্বাচন একটি মহল বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য দায়ী বর্তমান সরকার। প্রায় এক বছর ধরে নানা বিষয়ে আলোচনার পর যে সমঝোতা হয়েছে, সেটি বৃষ্টিতে ভিজে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করেছে— কিন্তু সরকার সেই আস্থার মর্যাদা দেয়নি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি সংস্কার চায় না— এমন প্রচার শুধুমাত্র জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ছড়ানো হচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণভোট নির্বাচনের আগে করার সুযোগ নেই। ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তাদের প্রতিও আহ্বান- জনগণের দাবি একটি অবাধ নির্বাচন; সেটিতে যেন কেউ বাধা না দেয়।’
এ সময় রাজনৈতিক দল নয়, ঐক্যমত্য কমিশনই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

