ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, বরিশালের মাটি ইসলামের খাঁটি মাটি। তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেকেই চোখ হারিয়েছেন, পরিবার হারিয়েছেন। যারা এই শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদের জায়গা বাংলাদেশে নেই।
চরমোনাই পীর বলেন, ভোটের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের উৎখাত করা হবে।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল শহরের বেলসপার্ক মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এটি বরিশালে প্রথমবারের মতো ইসলাম ধর্মভিত্তিক ৮টি রাজনৈতিক দলের বড় ধরনের সমাবেশ।
সমাবেশে লাখ লাখ কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। বাদ জুহর মূল আয়োজন শুরুর আগেই সাড়ে ৯ একর আয়তনের মাঠটি পূর্ণ হয়ে যায়। জনতার স্রোত এত প্রবল ছিল যে বেলসপার্ক সংলগ্ন বান্দরোড, রাজা-বাহাদুরসহ বিভিন্ন সড়কে মিছিলের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
সমাবেশ থেকে ইসলামপন্থি ৮টি রাজনৈতিক দল সরকারকে ৫ দফা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। চরমোনাই পীর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং উন্নয়নের নামে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে চরমোনাই পীর আরও বলেন, সাবেক সরকারগুলো দুর্নীতি, অর্থপাচার ও ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে রেখেছে। ইসলামি দলগুলোর জোট ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি বন্ধ হবে এবং দেশ উন্নয়নের পথে এগোবে।
চরমোনাই পীর সমাবেশের শেষ পর্যায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অসুস্থ রাজনৈতিক নেতাদের জন্য দোয়া করেন। এই বিষয়টি বরিশালের রাজনৈতিক অন্দরমহলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিল। সমাবেশ শুরুর আগে সকাল থেকে লঞ্চ, বাস ও ট্রাকযোগে বরিশালের আশপাশের ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বরগুনা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসতে শুরু করেন।
ধর্মভিত্তিক দলের কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতে গোটা বরিশাল শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। প্রথমবারের মতো এত বড় জনসমাবেশকে ইসলামের পক্ষে গণজোয়ার হিসেবে মন্তব্য করেছেন চরমোনাই পীর।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন