বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশনের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মাঠঘাট, ফসলি জমি, মাছের ঘের, পুকুর ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের। অনেকে ঘরবন্দি রয়েছেন। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চরমানিকা, রসুলপুর, জাহানপুর, হাজারীগঞ্জ, মাদ্রাসা, নজরুল নগর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার চরকুকরি-মুকরি, চালচর ও মুজিব নগর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ওইসব এলাকার শত শত পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ।
উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মনির বলেন, ‘আমাদের চরে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। আমাদের অবস্থা একেবারে নাজুক। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অনেকের বসতঘর। এই চরে কোনো আশ্রয়ণ কেন্দ্র নেই, যার কারণে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। দিনে কোনোরকম ছিলাম, রাতটা কীভাবে কাটাব সেই চিন্তায় রয়েছি।’
চরমানিকা ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পানিবন্দি সিদ্দিক বলেন, ‘মেঘনা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে আমার বসতবাড়িটি। চলাচলের রাস্তা তলিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুপুর রান্না করতে পারি নাই। এখন জোয়ার কমে গেলে রান্না করা হবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।’
চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ (পাউবো)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এতে চরফ্যাশন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে। জোয়ারের পানি কোথায় বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক নজরদারি রয়েছে।’
এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত চরফ্যাশনের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বইছে।
আপনার মতামত লিখুন :