ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার এক আলোচিত ঘটনায় স্থানীয় মানুষকে নাড়া দিয়েছে। ৯০ বছর বয়সি এক মায়ের আশ্রয় হয়েছে তারই এক ছেলের গোয়াল ঘরে। এমন নির্মম বাস্তবতার সাক্ষী হয়েছে এলাকার মানুষ।
উলফৎ নেছা নামের বৃদ্ধা এখন মানুষের সহানুভূতির ওপর ভর করে বেঁচে আছেন। তিনি উপজেলার শশিভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রয়াত খলিলুর রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী খলিলুর রহমান মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর উলফৎ নেছার নামে স্বামীর রেখে যাওয়া জমি তিন ছেলে কৌশলে তাদের নামে লিখে নেন। তারপর থেকে উলফৎ নেছার জীবনে নেমে আসে দুঃখ-দুর্দশা।
তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ পাঁচ সন্তানের জননী তিনি। ছেলেরা হলেন- আঃ সহিদ, মো. নিরব ও মো. বাছেদ। একে একে তিন ছেলের ঘর থেকে ঠাঁই হারিয়ে আশ্রয় হয় গোয়াল ঘরের এক কোণে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহে আলম হাওলাদার জানান, উলফৎ নেছার স্বামী মারা যাওয়ার পর তার তিন ছেলে তার নামের জমি লিখে নিয়েছে। পরবর্তীতে ছেলেরা মায়ের ভরণপোষণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তাদের তিন ভাইয়ের ঘরে মায়ের আশ্রয় না হওয়ায় দ্বিতীয় ছেলে নিরবের গোয়াল ঘরে তার মায়ের আশ্রয় হয়েছে।
ছেলে নিরবের স্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরাই আছি কষ্টে। আমরাও ভালো ঘরে ঘুমাতে পারি না। এই বৃদ্ধকে কীভাবে রাখব আমাদের ঘরে।
এমনি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের নজরে আসে। পরে তিনি ওই বৃদ্ধ মাকে দেখতে তার বাড়িতে যান এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন জানান, এক বৃদ্ধ মায়ের আশ্রয় হয়েছে গোয়াল ঘরে। এমনই একটি সংবাদ শুনেছি। আমরা তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাকে সহযোগিতা করব।


