জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন প্রতিবেশ দেশ ভারতে। স্বৈরশাসক হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর কোণঠাসা থাকার পর অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একেবারে সামনের সারিতে চলে আসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বিশাল জনসমর্থনে কর্মী-নেতাদের মধ্যে ফিরে আসে খুশির আমেজ।
তবে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি ক্ষমতার কাছাকাছি আসার আগেই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কলহে জড়িয়ে পড়ছে। বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। তবে এ ক্ষেত্রে জামায়াত এগিয়ে রয়েছে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে রয়েছেন, যার কারণে দলটির নেতৃত্বে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা।
রাজনৈতিক বোদ্ধাদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং থাকবে, তবে নেতৃত্বের কোন্দলে বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকলে সেটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। সম্প্রতি বিএনপির জেলা বা নগর-মহানগরের কমিটিতে দেখা গেছে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কলহে জড়িয়ে পড়ে শক্তি হারাচ্ছে দলটি।
সূত্র জানায়, এদিকে বিএনপিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজপথে আন্দোলন জোরদার ও দলীয় কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে দলটি। এ জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করার উদ্যোগ নিচ্ছে, যেটা নিয়ে সম্প্রতি দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
ওই বৈঠকে থাকা বিএনপির এক স্থায়ী কমিটির সদস্য রূপালী বাংলাদেশকে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ধরে রাখতে, নেতৃত্বের কোন্দল নিরসনে এবং বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে সারা দেশে নতুন রূপে কমিটি করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য দেশব্যাপী বিএনপির একাধিক সাংগঠনিক টিম কাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলীয় কোন্দল নিরসন, নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং, বিভাজন ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য রোধে কঠোর হচ্ছে বিএনপি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নামে চালানো হচ্ছে নানা অপপ্রচার। মূল দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে বিশৃঙ্খলাকারী নেতাদের লাগাম টেনে ধরতে চায় দলটি। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় হাইকমান্ড।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক এক দপ্তর সম্পাদক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ‘৫ আগস্টের পর আমাদের মধ্যে অনৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে, এটা সত্য। অচিরেই এই সমস্যার সমাধান না করতে পারলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে, যার যথেষ্ট কারণও রয়েছে।’
বিএনপির কর্মী আমিরুল জানান, আমাদের বরিশাল সদর আসন বিএনপির ঘাঁটি যেমন সত্য, তেমনি এটিও সত্য যে, এখন দলীয় কোন্দলের সুযোগ নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের মতো বিভিন্ন সংগঠন।
জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘দেখা গেছে, দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে আছেন কিংবা নেতা নন, নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতার জায়গায়ও অনেকটা ঘাটতি রয়েছে এমন লোকজন ৫ আগস্টের পর নেতা হয়েছেন। এতে জেলা ও মহানগর বিএনপির মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ ও নানা গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। নেতৃত্বের কোন্দলে বাড়ছে দলীয় বিশৃঙ্খলা!
জানা গেছে, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কলহ ঠেকাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। কেউ যদি ত্যাগী নেতাদের কাউকে হেয় করে কথা বলেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘সারা দেশে বিএনপি নেতাদের দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অন্যথায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম রূপালী বাংলেদেশকে বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে বিএনপি খুবই কঠোর। দ্বন্দ্ব-গ্রুপিংয়ের বিষয়ে সরাসরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারক করছেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেই তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাবে বিএনপি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর টানা ৯ মাস নেই কোনো হামলা-মামলা আর গ্রেপ্তারের ভয়। প্রতিপক্ষবিহীন অনুকূল পরিবেশ পেয়ে এখন নির্ভয়ে রাজনীতির মাঠে রয়েছে জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তা ছাড়া নেতাকর্মীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে বিভিন্ন নেতার নেতৃত্বে এলাকায় এলাকায় করছেন মহড়া-শোডাউন। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির মাঠে এখন বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিএনপিই।
জানা যায়, জেলা, মহানগর ও উপজেলা বিএনপিসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি। দলের এমন অভ্যন্তরীণ কোন্দাল সারা দেশেই রয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা জেলা বিএনপি, চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর, মেহেরপুর, পিরোজপুর, গাজীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শেরপুর, জামালপুর, দিনাজপুর, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, খুলনা, ভোলা, বরগুনা, গাইবান্ধা, নেত্রকোণা, জয়পুরহাট, বাগেরহাট, লালমনিরহাট, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, বান্দরবান, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, বরিশাল, সিলেট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, নড়াইল, টাঙ্গাইলসহ অধিকাংশ জেলায় অভ্যন্তরীণ কোন্দালে রয়েছে দলটি। এসব জায়গায় বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিএনপিই। এ নিয়ে সম্প্রতি দলের হাইকমান্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু মোবাইল ফোনে বলেন, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘাত এড়াতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি স্থগিতের নির্দেশ ছিল। বিশৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কায় দুই গ্রুপের এমন কর্মসূচি আর হতে দেওয়া যাবে না। দলের হাইকমান্ড নির্দেশ দিয়েছেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেই দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা দলের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর রয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে হাজার হাজার নেতাকর্মী শাস্তি পাচ্ছে। অন্যায় যে-ই করুক, সে যদি বিএনপির নেতাও হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং করে এবং নেতৃত্বের কোন্দলে বিএনপির বদনাম ও বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দল কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশটা যখন নতুন করে গড়ে উঠছে এবং গণতন্ত্রের পথে যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে, কেউ যাতে এই যাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে, সে জন্য আমরা দলীয়ভাবে সতর্ক রয়েছি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এসব বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবকিছু জানেন এবং নেতাকর্মীদের সংযত থাকতে নিয়মিত নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যাতে আইন হাতে তুলে না নেয়। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করলেই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সংঘটিত সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনাগুলোয় দায়ের করা মামলার তথ্য বিশ্লেষণ, নিহতের স্বজনদের ভাষ্য, পুলিশ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে অন্তর্কোন্দলের ঘটনাগুলোর নেপথ্যে রাজনৈতিক আধিপত্য, এলাকাভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ, দুই নেতার অনুসারীদের দ্বন্দ্ব, চাঁদাবাজি ও প্রতিষ্ঠান দখলের মতো বিষয় রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন আসকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোয় অন্তর্কোন্দলের কারণে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ১৩৬টি। এতে নিজ দলের অন্তত ২৯ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। একক রাজনৈতিক দল হিসেবে সারা দেশে এ সময়ে ৮৫ বার আত্মঘাতী সংঘাতে জড়িয়েছে বিএনপি। এতে দলটির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী ও সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দল নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে অন্তত ৪০ বার। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন।
আসকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত মার্চ মাসেই সারা দেশে অন্তত ৭১টি রাজনৈতিক সংঘাত হয়। এতে নিহত হন ২০ জন। এর মধ্যে দলীয় কোন্দলে নিহত ১৮ জন। এর আগের মাসে ৪৬টি সংঘাতে আটজন নিহত হন। এই আটজনের ছয়জনই দলীয় কোন্দলের জেরে খুন হন। জানুয়ারি মাসে রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছিল ৫৮টি। এতে আটজনের প্রাণহানির মধ্যে পাঁচজনই দলীয় কোন্দলের বলি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘দীর্ঘ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটি আওয়ামী লীগের শাসনামলে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের পতনে দীর্ঘদিনের বঞ্চনার পর দলটি স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরে আসে।
এতে দেশের কোনো কোনো এলাকায় নিজেদের মধ্যে নানা স্বার্থের সংঘাত দেখা দেয়। যদিও দলটির হাইকমান্ড এসব সংঘাত-সহিংসতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বহিষ্কার, সাময়িক বহিষ্কারসহ নানা ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তার পরেও দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং, নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে দলটিতে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কলহে জড়িয়ে শক্তি হারাচ্ছে দলটি। সাধারণ মানুষের এমন মন্তব্যে সমালোচনার মুখে বিএনপি। যদিও তারা এটি থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছে।
সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, রাজনৈতিক দলগুলোয় অন্তর্কোন্দলের ঘটনাও তত বাড়বে। বিশেষত দল হিসেবে বিএনপি এসব ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে বেশি। কারণ, দেশের সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় ও শক্তিশালী দল বিএনপি। তাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে রাজনৈতিক আধিপত্য, এলাকাভিত্তিক দখল, প্রতিষ্ঠান দখল ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিএনপির নানা স্তরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।’ তা ছাড়া দখল, চাঁদাবাজির সঙ্গে দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি সামনে আসবে।
রাজনৈতিক কোন্দলে হানাহানি এবং প্রাণহানি বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সাবেক মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল সাগর বলেন, ‘যারাই অপরাধ করুক না কেন, আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ ও আইনের আওতায় আনতে সচেষ্ট ভূমিকা রাখছি। এসব ঘটনায় মামলা হচ্ছে, আসামি ধরা হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের যা করণীয় তা-ই করা হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :