ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫

বগুড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
আল আমিন (৩০)। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার শাজাহানপুরে মামলা তুলে না নেওয়া এবং চাঁদা না দেওয়ার জেরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আল আমিন (৩০) অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শনিবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

নিহত আল আমিন শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ভাদাইকান্দি গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, গত সোমবার সকালে আল আমিন তার বাড়ি থেকে বগুড়া শহরের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের একটি দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত রামদা, হকিস্টিক ও হাতুড়ি দিয়ে পৈশাচিকভাবে তার ওপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শজিমেকে ভর্তি করেন।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের কাছে আল আমিন জানান, ‘হামলাকারীরা তাকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘মামলা তুলে নে, না হলে দুই লাখ টাকা দে, নইলে জীবন দিয়ে দে।’ এর কয়েকদিনের মধ্যেই ঘটে যায় মর্মান্তিক মৃত্যু।’

স্বজনদের বরাতে জানা যায়, দেড় বছর ধরে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম, আবু হোসেন ও ফজলুল হক আল আমিনের এক একর কৃষিজমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। এ নিয়ে দুই দফা হামলার শিকার হন আল আমিন ও তার পরিবার। উভয় ঘটনায় থানায় মামলা করেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা তাকে মামলা তুলে নিতে ও চাঁদা দিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন।

নিহতের চাচা জাহিদ হাসান শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে আতিকুল ইসলাম ও আল মাহমুদ পরিকল্পিতভাবে আল আমিনের পথরোধ করে হামলা চালান। তাদের সঙ্গে পালিত সন্ত্রাসীরাও হামলায় অংশ নেয়। হামলা প্রতিরোধ করতে গেলে আল আমিনের বাবা আফজাল হোসেনকেও পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আগে দায়েরকৃত মামলায় এখন হত্যার ধারা সংযুক্ত করে আদালতে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

তিনি আরও বলেন, রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।