বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা এলাকায় গত এক বছর ধরে সিসি ক্যামেরা অকেজো থাকায় এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও মাদকের উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।
একসময় এসব অপরাধ রোধে দুপচাঁচিয়া থানা ও উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে প্রতিটি ইউনিয়নের বাজার এলাকায় এবং উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। এর ফলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমে এসেছিল।
কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এক আন্দোলনের মধ্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা প্রায় সব সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। বিশেষ করে পৌরসভা এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো আজও মেরামত করা হয়নি, যা পৌরসভার চরম উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার প্রমাণ। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই সিসি ক্যামেরাগুলো বর্তমানে কোনো কাজে আসছে না।
বরং অপরাধ সংঘটনের পর অপরাধীরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাচ্ছে, কারণ তাদের শনাক্ত করার মতো কোনো পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু নেই।
এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ কামরুল হাসান জানান, ‘পৌরসভার অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলোর সংযোগের তার কেটে নেওয়া হয়েছে এবং অনেক ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে। আপাতত নতুন করে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা পৌরসভার নেই বলেও তিনি জানান।’
সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকার ফলে ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দু অধ্যুষিত মহল্লাগুলোতে বাড়ছে চুরির ঘটনা। কিছু ছোট চোর মই দিয়ে ঘরে ঢুকে পূজার ঘরের দরজা ভেঙে পিতলের মূর্তি, পূজার উপকরণ ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় জনগণের দাবি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সিসি ক্যামেরা মেরামত বা নতুন করে স্থাপন করা জরুরি। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে অপরাধীরা আর সহজে রক্ষা পাবে না।