ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
নির্বাচন কমিশন। ছবি - সংগৃহীত

সরকার নতুন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন (আরপিও) অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে, যা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা ও নির্বাচনি বিধানগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে।

গতকাল সোমবার (০২ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে এই অধ্যাদেশটি প্রকাশ করা হয়েছে।

সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা অন্য কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকে, তবে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

এ ছাড়া, আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামিদেরও ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে না।

নতুন বিধান অনুযায়ী- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোট ফের চালু হচ্ছে এবং সমভোটের ক্ষেত্রে পুনভোট হবে। জোটে ভোট প্রদান করলে নিজ দলের মার্কায় ভোট গণনা হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জামানত নির্ধারিত হয়েছে ৫০ হাজার টাকা এবং দল আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা করা যেতে পারে।

এ ছাড়া, আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। নির্বাচনি অনিয়ম ধরা পড়লে পুরো আসনের ভোট বাতিল করা যেতে পারে। নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার বা হলফনামায় অসত্য তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে নির্বাচিত হওয়ার পরও ইসি ব্যবস্থা নিতে পারবে।

ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতির দায়িত্ব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে রাখা হয়েছে এবং তাদের তৈরি তালিকা কমিশনের অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে। রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলে তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।

নির্বাচন কমিশন আশা করছে, এই সংশোধনীগুলো দেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করবে।