ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ নেই, ফিরল ‘না ভোট’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
প্রতীকী ছবি

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ বন্ধ করতে আবারও ফিরছে ‘না ভোট’ ব্যবস্থা। এর ফলে কোনো নির্বাচনি এলাকায় একমাত্র প্রার্থী থাকলেও ভোটাররা চাইলে তাকে ‘না ভোট’ দিতে পারবেন। যদি ‘না ভোট’ বেশি হয়, তবে সেখানে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করা হয়েছে। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন পায়।

২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, এমন নির্বাচন আর সম্ভব হবে না। কারণ যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কোনো এলাকায় একজন প্রার্থী থাকেন, তাহলে সেই প্রার্থী ও ‘না ভোট’-এর মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

যদি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ‘না ভোট’-এর চেয়ে বেশি হয়, তবে তিনি নির্বাচিত হবেন। কিন্তু ‘না ভোট’ বেশি হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেন, তাহলে আপিলের সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না।

একই সঙ্গে সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, নিবন্ধিত দল জোট করলেও নিজেদের দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। অর্থাৎ জোটের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবেন না।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরপিওতে আনা এসব সংশোধনের ফলে ভোটারদের মতামতের গুরুত্ব বাড়বে এবং ‘না ভোট’ ব্যবস্থা আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।