ঢাকা বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দুপচাঁচিয়ায় ৭ দিনে ১০ হিন্দু বাড়িতে চুরি, প্রশাসন নীরব

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় চুরির উপদ্রব বেড়ে চলছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০টি হিন্দু বাড়িতে চুরি সংঘটিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

২৩ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুপচাঁচিয়া পৌরসভার ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে। চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে পূজার উপকরণ, পিতলের থালা-বাসন, ছোট ছোট বিগ্রহসহ গৃহস্থালির মূল্যবান সামগ্রী। সামনে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঘরে নতুন জিনিসপত্র কেনাকাটা শুরু করলে দুর্বৃত্তরা এসব বাড়ি টার্গেট করে চুরি করছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুল ইসলামকে অবহিত করা হলেও এখনো কোনো ফলপ্রসূ পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে পশ্চিম বোরই থেকে চৌধুরীপাড়া পর্যন্ত অন্তত আটটি বাড়িতে দুর্বৃত্তরা নির্বিঘ্নে চুরি করে চলে গেছে।

এলাকাবাসীর মতে, চুরির মূল কারণ মাদকের ভয়াবহতা। দুপচাঁচিয়া থানাধীন ছয়টি ইউনিয়নে একশ্রেণির কিশোর গ্যাং মাদক পরিবহন ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। নেশার টাকার যোগান দিতে তারাই চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

বর্তমানে দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার পুরাতন কাঁচা বাজার, চৌধুরীপাড়া মোড়, বিয়াম স্কুলের পাশে, মেইল বাসস্ট্যান্ড, লালুকারপুল, বুড়ো কালিতলা নাগর নদীর ব্রিজ, তালোড়া রেলস্টেশনের রাস্তার পাশ ও আলতাফনগর বাজার সংলগ্ন এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসীর দাবি, মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে চুরি-ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে। সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, তার জন্য তারা থানার প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।