বগুড়ায় পাওনা টাকার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিল খন্দকার (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের তেলিপুকুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শাকিল বগুড়া শহরের ছিলিমপুর মিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাকিবুল্লাহ খন্দকার।
এ ঘটনায় শাকিলের দুই ছেলে আপন (২৫) ও অপূর্ব (২২), ভাগিনা তৌফিক ইসলাম (৩২) এবং বাবা রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। তৌফিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্বজনদের অভিযোগ, বালু ব্যবসা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাকিলের সঙ্গে স্থানীয় শামিম ও পলাশের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে জমির পাওনা দেড় লাখ টাকা পরিশোধের কথা বলে আত্মীয় সুজনের মাধ্যমে শাকিলকে ডেকে নেয়া হয়।
তেলিপুকুর গ্যাসপাম্পের পেছনে গেলে শামিম, পলাশ ও তাদের ৩০-৪০ জন সহযোগী প্রথমে শাকিলের ভাগিনা তৌফিককে মারধর করে। এরপর শাকিলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে তিনি পালিয়ে যান।
পরে শনিবার সকালে ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও অভিযুক্তরা মব সৃষ্টি করে শাকিলের বড় ছেলে জয় (২৮)-এর হাতে দেশীয় অস্ত্র ধরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
নিহত শাকিলের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিপ্লব হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
শাকিলের চাচাতো ভাই মিরাজ খন্দকার বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিলয় ও রাতুলসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’