ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

‘খাসি জবাই করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিল, এখন আবার জামায়াতে গেছে’

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
অনেকেই নতুন যোগদানকারীদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা পুরনো ছবি প্রকাশ করছেন।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ছেড়ে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা শাখার সেক্রেটারি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রাজু।

বিএনপি থেকে জামায়াতে যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন— ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম, বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী, আলম রেজা, ইউসুফ আলী, মো. বদিউজ্জামান, আতাউর রহমান, মোরশেদুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, গোলাম মোস্তফা, সেকেন্দার আলী, আব্দুল হাকিম, শাহিন হাসান, আব্দুল আলিম, খোরশেদ মোস্তাকসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী।

অনুষ্ঠানে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ নতুন যোগদানকারী নেতাকর্মীদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দলে বরণ করে নেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বলেন, ৫২-৫৩ জন নেতাকর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। তাদের যোগদানের মাধ্যমে নন্দীগ্রামে ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হলো।

অন্যদিকে, ফেসবুকে যোগদানের এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই নতুন যোগদানকারীদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা পুরনো ছবি প্রকাশ করছেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, যাদের নিয়ে প্রচার হচ্ছে, তারা বিএনপির কেউ নয়। ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম একসময় খাসি জবাই করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিল, এখন আবার জামায়াতে গেছে। এসব লোক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ যোগদান নন্দীগ্রাম এলাকায় নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করতে পারে।