ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা চিরতরে বিলুপ্ত হবে: মীর স্নিগ্ধ

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
শিবগঞ্জে বিএনপির ছাত্র-জনতা সমাবেশে জুলাই যোদ্ধা শহীদ মীর মুগ্ধের জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশজুড়ে জুলাই যোদ্ধাসহ সকল তরুণ-যুবকদের ঐক্যবদ্ধ করে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা চিরতরে বিলুপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জুলাই যোদ্ধা শহীদ মীর মুগ্ধের জমজ ভাই ও বিএনপি নেতা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনার বিচার এই দেশেই হতে হবে।’

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মীর মুগ্ধ স্কয়ারে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-জনতা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এর আগে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে আবেগঘন পরিবেশের মধ্যে তাকে স্বাগত জানানো হয়। সমাবেশস্থলে পৌঁছালে হাজারো ছাত্র, যুবক ও সাধারণ মানুষ ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় থেকে মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে মীর স্নিগ্ধকে বরণ করে নেন।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মীর শাহে আলম।

বিএনপিতে যোগদানের পর প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্যে মীর স্নিগ্ধ বলেন, ‘পুণ্যভূমি শিবগঞ্জের মহাস্থান থেকে প্রথম রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। খুনি হাসিনা আমার ভাইসহ দুই হাজার ভাই-বোনকে হত্যা করেছে, আহত করেছে বিশ হাজার মানুষকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুনি হাসিনার গুম, খুন ও জুলুমের শিকার হয়েছে সবচেয়ে বেশি বিএনপি। ছোটবেলা থেকে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম ও আপসহীনতা দেখে বড় হয়েছি। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই বিএনপিতে যোগ দিয়েছি।’

ভাইয়ের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দেওয়া ‘ব্ল্যাংক চেকের প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করার দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা আপস করিনি, করবও না। ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়ব।’

সভাপতির বক্তব্যে মীর শাহে আলম বলেন, বিএনপি জুলাইয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি। শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধ বিএনপিতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণ হয়েছে।’

ছাত্র-জনতার সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন: উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব, বিএনপি নেতা এসএম তাজুল ইসলাম, আব্দুল করিম, মীর শাকরুল আলম সীমান্ত, খালিদ হাসান আরমান প্রমুখ।