চাঁদপুর জেলার আট উপজেলার শত শত মানুষ প্রতিদিন বিচারিক সেবা গ্রহণের জন্য চাঁদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই আদালত প্রাঙ্গণ পানিতে ডুবে যায়। এতে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাঁটাচলা তো দূরের কথা, আদালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে থাকারও উপায় নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এই দুর্ভোগের চিত্র। কথা হয় সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজেনের সাথে। জানালেন ভোগান্তির কথা।
সদরের চান্দ্রা এলাকা থেকে মামলার কাজে আসা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘মামলার কাজে এসে দেখি আদালতের সামনে প্রায় হাঁটুসমান পানি। বৃষ্টি হলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। আদালতের সামনে এখন দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।’
হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা আরেক বিচারপ্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত মানুষ সেবা নিতে আসেন। বিচারিক কাজ সাধারণত বিলম্বিত হয়। এই সময় লোকজন সামনের খালি জায়গায় গাছের নিচে কিছুটা হলেও অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি হলে আর দাঁড়ানো সম্ভব হয় না।’
আদালত এলাকার বাসিন্দা মনজুরুল ইসলাম তালুকদারের কথা হলে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার ফলে এই মাঠটি পানিতে ভরে যায়। আদালতের আশপাশে বিভিন্ন ডোবায় যখন পানিতে পরিপূর্ণ হয় তখন ওই ডোবার পানি জমে থাকে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টিনশেডের আদালতের সামনের অংশটুকু নিচু হওয়ার কারণেই বাগানে পানি জমে থাকে। এ ছাড়াও আদালতের আশপাশে বিভিন্ন বাড়িঘর ও বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। জলমগ্ন হওয়ার এটিও একটি কারণ।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যে অ্যাডভোকেট তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের টিনশেডের সামনের অংশটি পুকুরের মতো অবস্থা হয়ে আছে। এখানে বিচারপ্রার্থীরা এসে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। আসামি কিংবা বিচারপ্রার্থী সবারই এখন ভোগান্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সামনের জায়গাটুকু বালু দিয়ে ভরাট করে একটু উঁচু করে দিলে বিচারপ্রার্থীরা এখানে এসে দাঁড়াতে পারবে এবং বিচারপ্রার্থীদের দাঁড়ানোর জন্য একটা ঘর নির্মাণ করাও প্রয়োজন বলে মনি করি।’
চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের নাজির শাহআলম বলেন, ‘টিনশেডের সামনের অংশটি যদি বিল্ডিং করা হয়, তাহলে খালি জায়গাটি ভরাট হয়ে যাবে। এ ছাড়া গণপূর্ত বিভাগ মাটি দিয়ে যদি এই সামনের অংশটুকু ভরাট করে দেয়, তাহলে বিচারপ্রার্থীদের আর দুর্ভোগে থাকতে হবে না।’