ঢাকা শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫

ইলিশের মৌসুম হলেও দামে চড়া, ক্রেতারা হতাশ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
চাঁদপুর মাছঘাটে এখনো আশানুরূপ বাড়েনি ইলিশের সরবরাহ। ছবি- সংগৃহীত

চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড় স্টেশন মাছঘাটে এখনো আশানুরূপভাবে ইলিশের সরবরাহ বাড়েনি। ভরা মৌসুম চললেও ঘাটে আসা ইলিশের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তবে যেসব ইলিশ আসছে, তার বেশির ভাগই আকারে ছোট এবং সেগুলোর উৎস মূলত চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও হাতিয়া।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ঘাটে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় তিনশ মণ ইলিশ এসেছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এটি মৌসুমের তুলনায় খুবই কম সরবরাহ।

ক্রেতারা বলছেন, চাহিদা ও আশার তুলনায় মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় তারা হতাশ। ইলিশের দামও তেমনভাবে কমেনি।

বর্তমানে চাঁদপুর মাছঘাটে- ৫০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০–১৫০০ টাকা কেজি দরে, এক কেজির ইলিশ মিলছে ২২০০–২৩৫০ টাকায়, ১২০০–১৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০–২৭০০ টাকায়, দামের এই তারতম্যের কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতি ও মৌসুমে বড় মাছের কম উপস্থিতিকে দায়ী করছেন।

মৎস্য গবেষক ড. আনিসুর রহমান জানান, ‘বর্তমানে নদী ও উপকূলীয় সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশের ধরা কমে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অতিবৃষ্টির ফলে নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ইলিশের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এটি স্থায়ী সমস্যা নয়। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ইলিশ আবারও উপকূল থেকে নদীতে উঠে আসবে।’

তিনি আরও জানান, ‘ইলিশ নাই, এটা বলা যাবে না। বরং এখন একটি চ্যালেঞ্জের সময় পার করছি। চর, ডুবোচর, দূষণ, দখল ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইলিশের গতিপথ প্রভাবিত হচ্ছে, যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’

সরবরাহ কম হলেও চাঁদপুর মাছঘাটে প্রতিদিনই ভিড় করছে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতা। হাটজুড়ে চলছে জোরেশোরে দরদাম আর ব্যস্ততা। তবে বড় ইলিশের তুলনায় ছোট মাছের পরিমাণ বেশি থাকায় অনেকেই স্বস্তির বদলে ফিরে যাচ্ছেন হতাশা নিয়ে।