চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানা এলাকায় ছাত্রশিবিরের সঙ্গে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এরপর সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে চকবাজার থানা ও আশপাশের এলাকা। সংঘর্ষে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
রাত ১টার দিকে শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষ আলাদাভাবে অবস্থান নিয়ে থেমে থেমে স্লোগান দিচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উভয়পক্ষকে নির্বৃত্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের দাবি, কয়েকদিন আগে যুবদলের কয়েকজন অনুসারী চাঁদাবাজি করতে গেলে মহসিন কলেজের শিবির নেতা আরিফসহ কয়েকজন তাদের ধরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনার ক্ষোভে আরিফকে একা পেয়ে ছাত্রলীগ বলে থানায় নিয়ে যায় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা। খবর পেয়ে তাকে ছাড়াতে যায় শিবিরের নেতারা।
এদিকে, ছাত্রদলের নেতাদের দাবি, ছাত্রলীগের একজনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। শিবিরের নেতারা তাকে ছাড়াতে যায়।
চকবাজার থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, এক ছাত্রকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করার ঘটনায় ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।
মহানগর উত্তর শিবিরের প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক বলেন, চকবাজারে ছাত্রদল-যুবদলের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে।
নগর ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি থানায় বৈঠকে রয়েছেন বলে জানান।