ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সাবেক এমপি দিদার দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও তার স্ত্রী ইসমাত আরার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাগুলো দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।

দুদক জানিয়েছে, দিদারুল আলমের আয়কর নথি যাচাইয়ে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর ও ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অস্থাবরসহ মোট ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১০-১১ থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষে তার আয় ৬৯ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা হলেও ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ব্যয় বাদে সঞ্চয় দাঁড়ায় ৫৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটি ৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকার উৎস অজানা।

তদন্তে আরও জানা গেছে, দিদারুল আলম ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৭৫ কোটি ৯৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা জমা এবং ৪৭২ কোটি ৯০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উত্তোলনসহ মোট ৯৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার লেনদেন করেছেন, যার উৎসও অজ্ঞাত। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।

অন্য মামলার এজাহারে বলা হয়, ইসমাত আরার নামে ২ কোটি ৬১ লাখ ১৩ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৭ লাখ ৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষে তার বৈধ আয় মাত্র ২ কোটি ৩৮ হাজার টাকা। ব্যয় বাদে ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার টাকা, কিন্তু জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদের সন্ধান মেলে।

দুদকের অভিযোগ, সংসদ সদস্য থাকার সময়ে দিদারুল আলমের ঘুষ ও দুর্নীতির অর্থেই এসব সম্পদ অর্জিত হয়। তাই ইসমাত আরার বিরুদ্ধেও দুদক আইন ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে।