চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আদালতের রায়ে অবৈধ দখলদারদের কাছে থাকা ১১ কাঠা চাষের জমি ১২ বছর পর ফিরে পেয়েছেন আমজাদ হোসেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতের নায়েব নাজির নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশ, ভূমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের একটি যৌথ দল অভিযানে অংশ নেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মৃত ফকির মোহাম্মদ মাস্টারের পুত্র আমজাদ হোসেন (৫৫) এর মালিকানাধীন ১১ কাঠা জমি একই গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র আশরাফ আলী অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। ২০১৩ সালে আমজাদ হোসেন আদালতে জমি ফেরতের জন্য মামলা করেন।
মামলার শুনানি চলাকালীন বাদীপক্ষ আদালতে জমির সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং নিয়মিত শুনানীতে অংশ না নেয়ার কারণে আদালত মামলাটি বাদীর পক্ষে রায় দেন। এরপর বিবাদীর দখল থাকা জমি আমজাদ হোসেনকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল কোর্ট কমিশনারের নির্দেশে নায়েব নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঢোল পিটিয়ে এবং লাল পতাকা টাঙিয়ে অবৈধ দখলদারদের জমি উদ্ধার করা হয় এবং প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আদালতের রায় ও প্রশাসনের উদ্যোগে অবশেষে জমির বৈধ মালিকরা তাদের দখল ফিরে পেয়েছেন।
জমির মালিক আমজাদ হোসেনের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ১১ কাঠা চাষের জমি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে আমি বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি। আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আমার পক্ষে রায় দেন এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় জমি ফিরে পাই। আমি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।’



