টানা এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় ৮শ’ ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার (৭ জুলাই) দিনভর ভারী বৃষ্টির কারণে ক্যাম্পের একাধিক ব্লকে পানি ঢুকে পড়ে। এ ছাড়া পাহাড় ধসের ফলে কয়েকটি ঘর মাটিচাপা পড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে লার্নিং সেন্টারসহ বিভিন্ন নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নেতা আবু তৈয়ব বলেন, ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন ক্যাম্পে পানি ঢুকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকেই ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। যারা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় আছেন, তাদেরও সরে যেতে বলা হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখছি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সোমবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং অনেকেই লার্নিং সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।