ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার সৈকতের ঝাউগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সংবাদকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
নিহত সংবাদকর্মী মোহাম্মদ নুরুল আমিন। ছবি- সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের শৈবাল পয়েন্ট এলাকায় ঝাউবাগানের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক সংবাদকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহটি দেখতে পান। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়লে তার পরিচয় শনাক্ত হয়।

নিহতের নাম মোহাম্মদ নুরুল আমিন (২৫)। তিনি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১নং ওয়ার্ডের মৃত জুনু মিয়ার ছেলে। নুরুল আমিন জাতীয় দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার উখিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও বিষয়টি তদন্তাধীন।

নুরুল আমিনের পকেট থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের একটি বাস টিকিট পাওয়া গেছে, যেখানে ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রার সময় উল্লেখ ছিল।

উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রাসেল চৌধুরী তার ফেসবুক একাউন্টে লিখেন, রাতে মারছা গাড়ীতে চড়ে কক্সবাজার পৌঁছে সকালে সৈকতের ঝাউগাছে ঝুলছে বালুখালীর মৃত জুনু মিয়ার সন্তান নুরুল আমিনের নিথর দেহ! আমিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করতেন।

পাশাপাশি লেখালেখি করতেন এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ফেসবুকে এক্টিভ থাকতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ছিলেন প্রতিবাদী স্বভাবের। মানুষের বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। স্থানীয়ভাবে তার সাথে কারও বড় কোন ঝামেলা বা শত্রুতা ছিল, এমন তথ্য জানা যায়নি।

তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করায় কিছু দুর্বৃত্ত তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। নুরুল আমিন একটি ভিডিও বার্তায় তার জীবন নিয়ে শংকার কথা বলে গেছেন। তার লাইভ ভিডিও বার্তার সূত্র ধরে অপরাধীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। আমিনের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন এবং খুনীচক্রের মূলোৎপাটন করে পর্যটন শহরকে নিরাপদ রাখার দাবী জানাচ্ছি।

নুরুল আমিনের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক, এনজিওকর্মী এবং সচেতন নাগরিকরা।