আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার রক্ষা তো দূরের কথা বরং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হতো। আইনেও ছিল সীমাবদ্ধতা। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার রক্ষায় একটি মাইলফলক স্থাপন করে দিতে চায়।
শনিবার (১৩ সেপ্টম্বর) সকালে উখিয়ার ইনানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর সংশোধন এবং নতুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া নিয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউএনডিপির লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ড. আসিফ নজরুল অভিযোগ করে বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার রক্ষা তো হয়নি, বরং লঙ্ঘিত হয়েছে। তবে বর্তমান সরকার শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম-খুন ও ‘আয়না ঘর’ থেকে বেরিয়ে আসতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ প্রণীত হলে, এই সরকারের আমলেই তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
প্রস্তাবিত খসড়ায় কমিশনকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধেও স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে গুম ও খুন প্রতিরোধে আলাদা আইন প্রণয়নের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।