কুমিল্লার আলোচিত ভুক্তভোগী সেই নারীকে মামলা তুলে নিতে স্থানীয় দুই ব্যক্তি নানা ধরণের ভয়-ভীতি দেখিয়েছিল। যে কারণে ভীত হয়ে মামলা তুলে নিতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমাকে স্থানীয় আবুল কালাম ও মুকুল মামলা তুলে নিতে বলেছিলেন। তারা বলেন, মামলা না তুললে আসামিরা জামিনে বের হয়ে আমাদের বাড়ি থাকা অসম্ভব হয়ে উঠবে। আমি ভীত হয়ে মামলাটি তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু এখন বুঝেছি আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি চাই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
উল্লেখ্য , গত ২৭ জুন রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরের বাহেরচরে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে পরে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা ২৯ জুন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিত নারী ২৮ জুন শুক্রবার রাতে প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন।
এরপর শনিবার (২৯ জুন) ফজরসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফজর আলী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি চারজন মো. আলী সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।