শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম

সবুজ পাহাড়ে জুমের ফসল ঘরে তোলায় ব্যস্ত চাষিরা

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম

সবুজ পাহাড়ে জুমের ফসল ঘরে তোলায় ব্যস্ত চাষিরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামে তিন জেলায় উচুনিচু পাহাড়ি জমিতে জুমের ধানের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ভুট্টা, তিল, মরিচ,মার্ফা, কুমড়া, আদা, হলুদ, সবজি চাষ করা হয়। প্রাকৃতিক ভাবে করা পাহাড়িদের ঢালু জমিতে এই চাষপদ্ধতি ‘জুম চাষ’নামে পরিচিত। 

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১০ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বসবাস। প্রধানত পাহাড়ে জুমচাষ থেকে পাওয়া ধান, ভুট্টাসহ সাথী ফসলে সারা বছরের চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা।

এবার অন্য বছরের তুলনায় ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। আগামী এক বছরে তাদের পরিবার কীভাবে চলবে, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাবেন কী করে এমন দু:চিন্তায় দিন পার করছে জুম চাষিরা। তবে জুমের উৎপাদিত সোনালী ফসলে বছরের ৬ মাস নির্ভর করে বাকি ৬ মাস আগামী বছরে আসন্ন ধানের উপর অগ্রিম ঋণ নিয়ে চলে পাহাড়ের হাজারো জুম চাষীর পরিবার।

লামা উপজেলার রুপসী পাড়া ইউনিয়নের কলাঝিরি, নাখ্যংমুখ, মংপ্রু পাড়া ও আশপাশ এলাকায় দেখা যায়, পাহাড়ে উঁচু জমিতে ধান, তিল, ভুট্টা, মরিচ, শাকসবজি, ফল, কুমড়াসহ নানা জাতের ফসলের চাষ করেছেন জুমিয়ারা। ধান পেলেও সাথী ফসল মরিচ, ভূট্টা, তিল, কুমড়া, মার্ফা কোনটা ফলন এবার তেমন ভালো হয়নি।

তবে জুম চাষিরা বলেন, এবার বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ মাসে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জুমের ফসল ভালো হয়নি। খরা ও রোদে চোখের সামনে ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল ঝলসে গেছে কিন্তু পাহাড়ি জুমে পানি সংকটের কারণে সেচের সুযোগ নেই। ফলে ধানে চিটা বেশি হয়েছে। 

লামা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যডম্যান পাড়ার বাসিন্দা রেয়ং ম্রো বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের আমরা চিনি না,জানি না। তারা আমাদের পাড়ায় কোনো দিন আসেন না। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেনা তাই আমাদের পাড়ার লোকজন কৃষি বিভাগের কোন সুবিধা পায়নি।

লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জান বলেন, এ বছর উপজেলায় জুম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ১২২ হেক্টর। আর আবাদ বাস্তবায়ন হয়েছে এক হাজার ৩১২ হেক্টর।

তিনি বলেন, স্থানীয় জাতের পাশাপাশি জুম চাষিদের আমরা আধুনিক কৃষি সম্প্রসারণের দিকে উদ্বুদ্ধ করছি। লামা, আলীকদমের সবুজ পাহাড়ে রং ছড়াচ্ছে জুম ধানের সোনালী আভা।

ধানের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে লাগানো মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টা, মারফা ও চিনাল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জুমিয়ারা।

 

আরবি/জেডআর

Link copied!