ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

২৫ বছরের যুবককে ‘শিশু’ দেখিয়ে জামিন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
অভিযুক্ত পলাশ রানা। ছবি- সংগৃহীত

গাইবান্ধা আদালতে ২৫ বছরের এক যুবককে শিশু পরিচয়ে ভুয়া জন্মসনদ দেখিয়ে জামিনে মুক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, আদালতের নথি জালিয়াতি, আসামির পরিচয় পরিবর্তন এবং শিশু আদালতকে ভুল পথে পরিচালিত করার।

মামলার নথি ও সূত্র জানায়, গত ১৫ জুলাই সেনাবাহিনীর অভিযানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কানুপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে পলাশ রানাসহ চারজনকে সরকারি ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আটক করা হয়। এজাহারে পলাশ রানার বয়স ২৫ বছর উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ফৌজদারি মামলা নং ৯৩৫/২৫ গাইবান্ধা দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির জন্য পেন্ডিং ছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, ৩ আগস্ট একই আইনজীবী ও ল-ক্লার্কের সহায়তায় পলাশ রানা নাম পরিবর্তন করে ‘পলাশ মিয়া’ বানিয়ে নতুন জন্মসনদ তৈরি করা হয় এবং তাকে শিশু দেখিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ জামিন আবেদন করা হয়।

শিশু আদালত মামলাটিকে ‘পেটি কেস’ হিসেবে দেখেন এবং আইনজীবীর কথায় বিশ্বাস রেখে জামিন মঞ্জুর করেন। ১২ আগস্ট ধার্য হাজিরায় জানা যায়, পলাশ রানাকে শিশু আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আদালতপাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়।

অভিযুক্ত আইনজীবী শেফাউল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নিয়ম মেনে জামিন আবেদন করেছেন।

এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার মো. রহমত আলী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগে পিপি আবু বকর সিদ্দিক ছানা ও অ্যাডভোকেট শেফাউল ইসলামের বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ তুলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

আইনজীবী মহল মনে করছেন, আদালতে এমন জালিয়াতি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সুষ্ঠু তদন্তে গাইবান্ধা আদালতের বহু অনিয়ম উদঘাটিত হবে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।