গোবিন্দগঞ্জে জয়পুরপাড়ায় আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীতে অবস্থিত শহীদ স্যামল মঙ্গল রমেশ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ ভূমিদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করতে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ গোবিন্দগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
স্মারকলিপি ও প্রতিবাদ সমাবেশে বলা হয়, গোবিন্দগঞ্জের ভুমিদস্যু সাবু-বাবু বাহিনীর লোকজন সাঁওতাল শিশুদের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ দখল করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, তারা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদর্শন করছেন। তাদের হাত থেকে সাঁওতাল শিশুদের রক্ষায় একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় দখলমুক্ত করার দাবিতে আজ বুধবার আদিবাসী সাঁওতালরা দুপুরে গোবিন্দগঞ্জের জয়পুর, মাদারীপাড়া, বাগদাফার্মসহ কয়েকটি সাঁওতাল পল্লী থেকে নারী পুরুষ প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে হেঁটে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে যায়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাঁওতাল নেতা ফিলিমন বাস্কে, আন্দ্রিভাস মুর্মু , অলিভিয়া হেমব্রম, শারমিন মার্ডি, গৌড় পাহাড়ী, আনিসুর রহমান, সাহেব মুর্মু , অঞ্চলী মুর্মু , বিটিশ সরেন, রিপন বেসরা জয়, মেকায়েল মুর্মু, জয়ন্ত মুর্মু, রনি মুর্মু, উর্মি মুর্মু, মারফিলি টুডু, প্রিয়ংকা মার্ডিসহ অন্যরা।
বক্তরা বলেন , ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে জমি উদ্ধারের নামে পুলিশ ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামের নেতৃত্বে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের জমি দখলকে কেন্দ্র করে সাঁওতালদের সাথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে স্যামল, মঙ্গল ও রমেশ নামের তিন সাঁওতালকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর সাঁওতালরা জয়পুর সাঁওতাল পল্লীতে তাদের নামে গড়ে তোলে শহীদ স্যামল মঙ্গল রমেশ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সাঁওতাল ভাষা শিক্ষার একমাত্র এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখলের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। তারা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও কোমলমতি সাঁওতাল শিশুদের স্বাধীনভাবে খেলাধুলা করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। পরে সাঁওতালরা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।