‘কেটু মিজান নয়, সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আরিফ’ বলে জানিয়েছে গ্রেপ্তার আসামি আল আমিন।
প্রিজন ভ্যান থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সত্য কথা বললে আপনারা কন মিছা, এখন আমার মিছা কথা বলে লাভ কী। আমি যেহেতু ধরা পড়েছি, আমার মিথ্যা বলে তো এখন লাভ নাই।’
আল আমিন বলেন, ‘লাল শাহীনের নেতৃত্বে কাজটা করা হয়েছে। কিন্তু আরিফ ভাই ঘটনাস্থলে স্বয়ং উপস্থিত ছিল। আরিফ ভাই কেটু মিজান ভাইয়ের কাছ থেকে দা নিয়ে তুহিন ভাইকে মারছে।’
এর আগে, সাংবাদিক তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে পৃথক অভিযানে গাজীপুর নগরীর সদর থানার সালনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) উত্তরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ফুটেজে দা, ছুরি ও চাপাতি হাতের যাদের দেখা গেছে, গ্রেপ্তার তিনজন তাদের মধ্যে ছিল।’
প্রসঙ্গত, গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি মার্কেটের ভেতরে প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।
তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এই সাংবাদিক।
আপনার মতামত লিখুন :