গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
জানা গেছে, উপজেলার জটিয়ার বাড়ি থেকে ভাঙ্গারহাট বাজার পর্যন্ত বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। কেউ কেউ আবার একাধিক দোকানঘর তুলে মোটা অঙ্কের জামানত নিয়ে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছেন। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেন না।
অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন। তারা দাবি করেন, এসব দখলদারকে আইনের আওতায় আনা না হলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এ ছাড়া ভাঙ্গারহাট এলাকায় বেড়িবাঁধের দু’পাশেই অসংখ্য দোকানঘর নির্মিত হয়েছে, যা পুরোপুরি অবৈধ।
অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমার তিনটি দোকানের কিছু অংশ বেড়িবাঁধের জায়গায় পড়েছে। সরকার যখন চাইবে, তখন আমি জায়গা ছেড়ে দেব।’
তবে তার এই বক্তব্যে এলাকাবাসী সন্তুষ্ট নন। তারা মনে করেন, সরকারি জমি দখল করে বসে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, ‘সম্প্রতি ওপদারহাট, ঘাঘর বাজার ও উপজেলা সদরে অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে এবং কোটালীপাড়ার যেকোনো জায়গা দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন