ঢাকা শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলল নাপোলি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম
শিরোপা পুনরুদ্ধার করল নাপোলি। ছবি: সংগৃহীত

সিরি আ-র শেষ ম্যাচে কালিয়ারিকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ইতালিয়ান লিগ শিরোপা জিতেছে নাপোলি।

ডিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা স্টেডিয়ামে ক্যালিয়ারিকে ২-০ গোলে হারিয়ে এক মৌসুম পর শিরোপা উল্লাস করেছে গ্লি আজ্জুরি। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে নাপোলির জয়ে গোল করেন স্কট ম্যাকটমিনে ও রোমেলু লুকাকু। এই জয়ের মাধ্যমে শেষ তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো নাপোলি।

শিরোপার হাতছানিতে ঘরের মাঠে নেমে পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো নাপোলি। ডি-বক্সে থেকে জিয়াকোমো রাসপাদোরির শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রতি-আক্রমণে আরেকটি দারুণ সুযোগ তৈরি করেও হতাশ হতে হয় তাদের, এবার গিলমোরের শট ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক।

একই সময়ে অনুষ্ঠিত আরেক ম্যাচে ইন্টার শুরু থেকে অধিকাংশ সময় পজিশন রেখে, প্রথম চার মিনিটেই লক্ষ্যে দুটি শট নেয়। যদিও সেখানেও স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসেনি। খানিক পরই শিরোপা লড়াইয়ে আসে নতুন মোড়।

২০তম মিনিটে গোলের জন্য তৃতীয় প্রচেষ্টায় এগিয়ে যায় ইন্টার। হাকান কালহানোগলুর কর্নারে হেডে গোলটি করেন স্টেফান ডা ভ্রেই। এই অবস্থায় লিগ টেবিলে চূড়ায় উঠে বসে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

বিরতির আগেই অবশ্য জন ম্যাকটমিনের দৃষ্টিনন্দন গোলে শীর্ষস্থানে আসে পরিবর্তন।

মরিয়া নাপোলি প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি আটকে রেখে, কয়েকটি সুযোগ হারানোর পর, ৪২তম মিনিটে এগিয়ে যায়। ডান দিক থেকে মাত্তেও পলিতানো ডি-বক্সে ক্রস বাড়ান, আর শরীরটাকে পুরোপুরি শূন্যে ভাসিযে অসাধারণ এক অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।

কিছুক্ষণ পর অন্য ম্যাচেও ঘটে উল্লেখযোগ্য এক ঘটনা। ডি-বক্সে থেকে বেরিয়ে ইন্টারের মেহেদি তারেমিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন কোমোর গোলরক্ষক পেপে রেইনা। তাতে পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষটা ভীষণ দৃষ্টিকটু হলো স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরো জয়ী গোলরক্ষকের।

আগেই এই ম্যাচ শেষে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন লিভারপুল, নাপোলি, বায়ার্ন মিউনিখের হয়েও খেলা ৪২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত গোলে শিরোপা সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করে নাপোলি। নিজেদের সীমানার বাইলাইনের কাছ থেকে আমির রাহমানি উঁচু করে থ্রু বল বাড়ান। মাঝমাঠের কাছে ইয়েরি মিনার চ্যালেঞ্জ সামলে বল দখলে নিয়ে, আবার তাকেই কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুকাকু।

ঠিক একই সময়ে অন্য ম্যাচেও গোলের দেখা পায় ইন্টার। কাছ থেকে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হোয়াকিন কোররেয়া।

তবে লুকাকুর আসরে ওই ১৪তম গোলেই যেন শিরোপা লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় নাপোলি। তাদের বাঁধভাঙা গোল উদযাপনে সেটাই ফুটে উঠছিল।

বাকি সময়েও তাদের পথে কোনোরকম বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি কাইয়ারি। ফলে শিরোপা লড়াইয়েও আসেনি আর কোনো নাটকীয়তা।