বিশ্ববাজারে টানা চার দফায় কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। এপ্রিলের পর এই প্রথমবার সপ্তাহজুড়ে তেলের মূল্য কমলো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেক প্লাস (OPEC+) যদি উৎপাদন বাড়ায়, তাহলে বাজারে অতিরিক্ত তেল সরবরাহ হতে পারে- এই আশঙ্কায় দাম কমেছে।
শুক্রবার (২৩ মে), ব্রেন্ট ক্রুড নামের তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি দাঁড়ায় ৬৪.১৩ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় ৩১ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ কম।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই (WTI) তেলের দাম কমে দাঁড়ায় ৬০.৮৭ ডলারে, যা ৩৩ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ কম। পুরো সপ্তাহে ব্রেন্টের দাম কমেছে ১.৯ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআই-এর দাম কমেছে ২.৫ শতাংশ।
ব্লুমবার্গ জানায়, ওপেক এবং রাশিয়াসহ তাদের মিত্ররা আগামী ১ জুন একটি বৈঠকে বসবে। সেখানে তারা জুলাই মাস থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে এই খবরেই বাজারে প্রভাব পড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, অতিরিক্ত সরবরাহের সম্ভাবনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে মজুত তেলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াও বাজারকে নিচের দিকে টানছে। তা ছাড়া, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা এবং রাশিয়ার ওপর ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞাও বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
এদিকে, যদিও বিশ্বে তেলের ব্যবহার খুব একটা বাড়েনি, তবুও যুক্তরাষ্ট্রে তেল মজুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। মহামারির সময় যেভাবে মজুত বাড়ানো হয়েছিল, এখনো অনেকটা সেই অবস্থা ফিরে এসেছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা আবার শুরু হচ্ছে রোমে। এই আলোচনা সফল হলে ইরানি তেল আবার বাজারে আসতে পারে, যা বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
তথ্যসূত্র: আরব নিউজ