ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় মাত্র এক দিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৬ ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই ভয়াবহ হামলা হয়। নিহতদের মধ্যে ৫০ জনই ছিলেন গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা।
এ হামলায় আরও অন্তত ১৮৫ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের নিচে এখনো অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছেন। তাই মৃত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরু হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৩৮২ জন। এদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে হঠাৎ হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার পর থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ কিছুদিন বন্ধ ছিল, কিন্তু মার্চ ১৮ তারিখে আবার শুরু হয় দ্বিতীয় দফার হামলা।
দ্বিতীয় দফার এই আক্রমণে গত আড়াই মাসে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৩ জন এবং আহত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
হামাস যাদের জিম্মি করেছিল, তাদের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধার করতে আবারও হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গাজায় এই যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) একটি গণহত্যার মামলাও হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল না করা পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে এবং জিম্মিদের মুক্ত করাও তাদের মূল লক্ষ্য।
তথ্যসূত্র: আলজাজিরা