ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

সন্তান প্রসব করেছে পাগলি, ধর্ষক গ্রেপ্তার

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়ায় চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকায় সুমাইয়া আকতার (২৫) নামে প্রতিবন্ধী পাগল নারীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করেন মো. ফারুক (৪৫) নামে এক ধর্ষক। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ১২টার দিকে উপজেলার গোচরা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক মো. ফারুক উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের হাজানিহাট এলাকার কাজী বাড়ির গ্রামের মো. হারুনের ছেলে।

ফারুক দীর্ঘদিন ধরে চন্দ্রঘোনার বনগ্রাম এলাকার নতুন গ্রামে বসবাস করে আসছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সুমাইয়া আক্তার (২৫) একজন প্রতিবন্ধী পাগল, সহজ-সরল ও স্বামী পরিত্যক্তা নারী। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি সারা দিন এলাকার বিভিন্ন জায়গায়, হাট-বাজারে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে অর্জিত অর্থ রক্ষক সাজা ধর্ষক ফারুকের কাছে জমা রাখতেন। এই সুযোগে ফারুক ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বনগ্রাম আজিজনগর এলাকার একটি পরিত্যক্ত গ্যারেজে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি ফাঁস হয়।

ঘটনা ফাঁসের পর ধর্ষকের নাম খোদ ভিকটিমই প্রকাশ করেন। এরপর ধর্ষক ফারুক বিভিন্ন কৌশলে প্রতিবন্ধী সুমাইয়াকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস, তা করতে সক্ষম হননি। কয়েকদিন আগে ভিকটিম সুমাইয়া আক্তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন।

ঘটনার পর ভিকটিম বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই আসামি ফারুক আত্মগোপনে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন, পিপিএম-এর তত্ত্বাবধানে ও রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার নির্দেশনায় এসআই (নি.) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে গোচরা বাজার এলাকা থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড আবেদন করা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসামিকে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।’