জামালপুরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণের শিকার ২৬ বছর বয়সি বন্যা খাতুনকে ৯ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলার মানিকের চর মোল্লাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বন্যা খাতুন নান্দিনা বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা এবং চাঁন মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার নান্দিনা এলাকা থেকে তুলশীরচর ইউনিয়নের ছোট ডৌয়াতলা গ্রামের মো. আইয়ুব আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫) ও তার সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বন্যা খাতুনকে একটি সাদা হাইয়েস মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ঘটনাটি সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়।
জামালপুর সদর থানার ওসি নাজমুস সাকিব অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে এসআই মো. মুস্তাফিজুর রহমান, এএসআই মো. আল নোমান, কনস্টেবল কবির হোসেন, আবুল হোসেন ও নারী কনস্টেবল ঝুমা রানীসহ বারুয়ামারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা অংশ নেন।
ওসি নাজমুস সাকিব জানান, অপহরণের নয় ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
জামালপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর। সদর থানার ওসি ও তার টিমের দ্রুত ও দক্ষ পদক্ষেপ ভিকটিম উদ্ধার করার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমন কার্যক্রম জেলা পুলিশের অঙ্গীকারের অংশ।’


