জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাদক ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক নারীসহ তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পৌর এলাকার সাতপোয়া (দিয়ারকৃষ্ণাই) ঝিনাই নদী সংলগ্ন দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন রাসেল মিয়া (৩০), তার মা আসমা বেগম (৫০) এবং চাচা গিয়াস উদ্দিন (৬৫)। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর সূত্রে জানা গেছে, সাতপোয়া এলাকায় কিছু তরুণ দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও অনলাইন জুয়ার আড্ডা গড়ে তুলেছে। তারা রাতে বহিরাগতদের নিয়েও এসব অপকর্মে লিপ্ত হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রতিবাদ জানান রাসেল মিয়া। এর জেরে বুধবার দুপুরে রাসেল মিয়া ব্যবসায়িক কাজে মনিরের দোকানের পাশে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ৮-১০ জন তরুণ তাকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকার শুনে মা আসমা বেগম ও চাচা গিয়াস উদ্দিন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়, এতে তাদের একজনের হাত ভেঙে যায়।
এ ঘটনায় রাতেই রাসেল মিয়া সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি সাতপোয়ার শান্ত, সৈকত, লেমন, শিপন, লিয়ন, তামিমসহ আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করেন।
ভুক্তভোগী রাসেল মিয়া বলেন, ‘বিবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি ও অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। আমি বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে হামলার শিকার হই। আমি ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।’
তবে অভিযুক্তদের মধ্যে শিপন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাদক বা অনলাইন জুয়ার সঙ্গে আমরা কেউ জড়িত না। রাসেলের সঙ্গে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছিল, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি আপস-মীমাংসার মাধ্যমে সমাধান হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, ‘মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’