সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযান গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছিল।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে পুণরায় স্টেশন এলাকায় অভিযান শুরু করে র্যাব-৯,। যেখানে টিকিট যাচাই, এনআইডি দেখানো ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জরিমানা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে র্যাব-৯ কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে টিকিটে অনিয়ম ও বিনা টিকিটে ভ্রমণের অভিযোগে ২৫ জন যাত্রীকে ১৫ হাজার টাকার বেশি জরিমানা করা হয়।
র্যাব-৯ সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীদের টিকিট যাচাই-বাছাই করা হয়। টিকিটে নামের অমিল, নির্ধারিত দূরত্বের চেয়ে বেশি ভ্রমণ এবং বিনা টিকিটে যাত্রা সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট ও যাত্রী দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রেনযাত্রার চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এই সুযোগে সক্রিয় হয়েছে টিকিট কালোবাজারি চক্র। অনলাইন টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিকিট শেষ হয়ে যায়, পরে সেই টিকিটগুলো সাধারণ যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করা হয়।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, “জনস্বার্থে টিকিট কালোবাজারি রোধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ এই নীতিতে আমরা কঠোরভাবে কাজ করছি। একই সঙ্গে রেল পরিবহনে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
অভিযানের সময় স্টেশনের প্রবেশ ও প্রস্থানপথে বিশেষ নজরদারি চালানো হয়। এনআইডি ও টিকিট যাচাইয়ের পাশাপাশি সন্দেহভাজন কালোবাজারিদের চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রমও জোরদার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, কিছু যাত্রী কালোবাজারি টিকিট নিয়ে বিকল্প প্রবেশ পথ দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-৯ ও জেলা প্রশাসন সাধারণ যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, শুধুমাত্র সরকারি বা নির্ভরযোগ্য অনলাইন মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে এবং সন্দেহজনক টিকিট কেনা-বেচার তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে।
র্যাব জানিয়েছে, রেলযাত্রার স্বচ্ছতা ও যাত্রীদের অধিকার রক্ষায় এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে।


