ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে জোরপূর্বক ঢুকে পড়েছে অবৈধ ইসরায়েলি বসতির প্রায় ২০০ বাসিন্দা। অবৈধ ইসরায়েলি বসতির এই বাসিন্দাদের উসকানিমূলক অনুপ্রবেশের ঘটনায় আল-আকসা চত্বরে আবারও উত্তেজনা বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
জেরুজালেম প্রাদেশিক প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সকালে ও বিকেলে দুই দফায় ইসরায়েলের অবৈধ বসতির মোট ১৮২ জন বাসিন্দা জোর করে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে এবং কুব্বাতুস সাখরার (ডোম অব দ্য রক) কাছাকাছি তালমুদিক আচার-অনুষ্ঠান পালন করে।
এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত একটি গেট দিয়ে ওইদিন ৭৭৮ জন বিদেশি পর্যটকও মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। শুধু নভেম্বরেই ইসরায়েলের অবৈধ বসতির ৪ হাজার ২৬৬ বাসিন্দা এবং প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি পর্যটক আল-আকসা এলাকায় প্রবেশ করেছেন।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের কাছে আল-আকসা মসজিদ বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে শহরটি ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়, যদিও ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি।
জানা যায়, ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকা আল-আকসা মসজিদের মরক্কো গেট দিয়ে বহুবার এমন অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। আল-আকসা মসজিদে অবৈধ বসতির বাসিন্দাদের উসকানিমূলক টহল ও তালমুদিক আচার পালনকে জেরুজালেমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মসজিদ এলাকায় সময় ও স্থানভিত্তিক ভাগাভাগি চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখে।
ইসলামিক ওয়াকফ কর্তৃপক্ষ বলছে, মসজিদের পুরো ১৪৪ দুনুম এলাকা একান্তই মুসলমানদের ইবাদতের স্থান এবং মসজিদের এই ধর্মীয় মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকা উচিত।

