পিরোজপুর জেলার কদমতলা ইউনিয়ন যেন উন্নয়নের মানচিত্র থেকে বিচ্ছিন্ন এক জনপদ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো মৌলিক অবকাঠামো এখনো চরমভাবে অবহেলিত।
এলাকার এই অনগ্রসরতার জন্য অনেকেই তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা লোপাটের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
কদমতলা ইউনিয়নের বহু গ্রামের সড়ক চলাচলের অনুপযোগী। বর্ষাকালে পথচারীদের হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে পড়ে, যা কৃষিপণ্য পরিবহন ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে।
ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে গেছে কিংবা কোথাও আদৌ নেই। ফলে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছাতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোও অত্যন্ত দুর্বল। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ভবন সংস্কার ও প্রয়োজনীয় আধুনিক শিক্ষাসামগ্রীর ঘাটতি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
এলাকার এই করুণ পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দ্রুত সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. নাঈমুল ইসলাম বলেন, কদমতলা ইউনিয়নের উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা আমরা স্বীকার করি।
এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো সমাধানে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। জনসেবা নিশ্চিত করতে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করব এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।
স্থানীয়দের আশা, অতি দ্রুত প্রশাসন এই ইউনিয়নের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ নজর দেবে। বিশেষ করে অবকাঠামো নির্মাণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং অতীতের দুর্নীতির অভিযোগগুলোর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জনগণের অর্থ যেন প্রকৃত উন্নয়নমূলক কাজে লাগে এটাই এখন কদমতলাবাসীর প্রধান দাবি।


