যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাসহ দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভোরে সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, যশোর শহরের খড়কি স্টেডিয়াম পাড়ার আব্দুল হকের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন (৪০) এবং উপশহর সারথি মিল এলাকার লিটন হোসেনের স্ত্রী জুঁই খাতুন (৩০)।
আহতরা হলেন, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি বেতাগা গ্রামের ফরিদ হোসেনের ছেলে মামুন (৩২) ও যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে মাসুদ (৪৫)। তাদের যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বেনাপোলগামী প্রাইভেট কারটি (ঢাকা মেট্রো-গ ২৫-৮১৫৮) নতুনহাট এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছে আঘাত করে। এতে মিলন ও জুঁই নামে দুইজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত দুইজনকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। প্রাইভেটকারের বেপরোয়া গতি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, আহতদের মধ্যে মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর শুনে নিহতদের স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তাদের আহাজারিতে হাসপাতাল চত্বরে শোকের ছায়া নেমে আসে। ভোরে প্রাইভেটকারে তারা কোথায় যাচ্ছিলেন, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
স্থানীয় সোহেল রানা নামে একজন জানান, দুর্ঘটনাটি ভয়াবহ ছিল। বিকট শব্দে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে গাছে ধাক্কা দেয়। এরপর সড়কের পাশের খাদে পড়ে। বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, ‘প্রাইভেটকারটি যশোর শহর থেকে বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিল। পথে নতুনহাট এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে মিলন ও জুঁই নিহত হন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
