যশোরে ঝিকরগাছায় সাপের কামড়ে মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (৯) মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে মা খাদিজা বেগম (৩০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভোরে উপজেলার বাঁকড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খাদিজা বেগম ওই গ্রামের ইমাদুল ইসলামের স্ত্রী। আর সুমাইয়া খাতুন তাদের মেয়ে। সে স্থানীয় কওমি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত।
স্বজনরা জানান, খাদিজা বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ঘুমন্ত মা-মেয়েকে বিষধর সাপে কামড় দেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে ইমাদুলের। ঘুম থেকে উঠেই তিনি সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলেন।
পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় স্ত্রী-সন্তানকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান ইমাদুল। মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০ টার দিকে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, মা-মেয়েকে অ্যান্টিভেনাম ইনজেকশন প্রয়োগ করাসহ সকল ধরণের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। দেরি করে হাসপাতালের আনার কারণে শিশু সুমাইয়া বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার মা খাদিজার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাঁকড়া গ্রামে বিষধর সাপের কামড়ে মিলন সর্দার (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়।