পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে টানা ১২ দিনের সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তিনি দাবি করেছেন যে, আমেরিকার হামলার ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে। তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতির পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রকাশ্যে না আসা দেশটির নাগরিকরা উদ্বিগ্ন জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস। ওই প্রতিবেদনের পর পরই ইসলামিক প্রজাতন্ত্র কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় যে তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
এই ঘোষণার পরই সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পোস্ট করেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এর মধ্যে একটিতে তিনি লেখেন, ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্র আমেরিকার মুখে চপেটাঘাত করেছে। তারা (ইরানি সামরিক বাহিনী) আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে এবং ক্ষতি করেছে, যা এই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন ঘাঁটি।’
এর কিছু আগে করা পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় ইরানের বিজয়ের জন্য আমার অভিনন্দন। মার্কিন সরকার সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করেছিল কারণ তারা মনে করেছিল যে যদি তা না হয়, তাহলে ইহুদিবাদী সরকার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা সেই শাসনকে বাঁচানোর প্রচেষ্টায় যুদ্ধে প্রবেশ করেছিল কিন্তু কিছুই অর্জন করতে পারেনি।’
আরেক পোস্টে খামেনি বলেন, ‘এত হৈচৈ এবং এত দাবির পরেও, ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা কার্যত ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আঘাতে উৎখাত এবং চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।’
বৃহস্পতিবার সর্বশেষ (বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা) করা পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন কেন্দ্রগুলোতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের (ইরান) প্রবেশাধিকার রয়েছে এবং যখনই প্রয়োজন মনে করবে তখনই পদক্ষেপ নিতে পারে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভবিষ্যতেও এই ধরণের পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি হতে পারে। যদি কোনো আগ্রাসন ঘটে, তাহলে শত্রুকে অবশ্যই এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।’