ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০৯:০০ পিএম
আদালত প্রঙ্গণে আসামি সোহেল মিয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা মামলায় সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৫'র বিচারক মো. সামছুদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সামিউল আজম লিছন কৃষক হত্যা মামলায় এক যুবককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই মামলা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’

সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহেল মিয়া গৌরীপুর উপজেলার চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং আবুল কাশেমের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকালে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সোহেল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চাচা আবুল হাশেমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ওইদিন সকালে আবুল হাশেম সোহেলের বাড়ির পেছনের বাঁশঝাড়ে বাঁশ কাটতে গেলে বাধা দেন সোহেল। 

এ নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে সোহেল ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসহ প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে হাশেমকে মারধর শুরু করেন। চিৎকার শুনে নয়নের চাচা কৃষক কাজিম উদ্দিনসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদেরও আক্রমণ করেন। 

এ সময় সোহেল মিয়া তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে কাজিম উদ্দিনের মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যান্যরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কাজিমউদ্দিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর নিহতের ভাতিজা নয়ন মিয়া গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে সোহেলসহ ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক পর্যালোচনা করে বিচারক সোহেল মিয়াকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।