ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

‘যুদ্ধবিরতির’ মধ্যে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২৮

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৮:৩৮ এএম
গাজায় থামছেনা ইসরায়েলি বর্বরতা। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্র–মধ্যস্থ যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা অবস্থায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৭ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকার তিনটি লক্ষ্যবস্তুতে, গাজার প্রধান শহর গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা শুজাইয়া এবং জয়তুনে যথাক্রমে একটি করে ভবনে আঘাত হেনেছে আইডিএফের বোমা। এতেই ঘটেছে হতাহতের ঘটনা।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, আইডিএফের বোমার আঘাতে একটি ভবনে এক পরিবারের বাবা, মা এবং তিন সন্তানসহ পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছে। গাজার ফিলিস্তিনিরা ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন; কারণ গাজায় এখনও যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে এবং আইডিএফের নিত্যদিনের সহিংসতায় ফিলিস্তিনিরা নিহত হচ্ছেন।

এদিকে, হামলার পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, বুধবার গাজার যেসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী, সেগুলোর সবই হামাসের লক্ষ্যবস্তু ছিল। কর্মকর্তারা আরও দাবি করেছেন, এই হামলায় যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হয়নি, বরং যুদ্ধবিরতির শর্তের আওতার মধ্যেই পরিচালিত হয়েছে হামলা।

এতে বলা হয়েছে, গাজার খান ইউনিস এবং গাজা সিটিতে হামাসের সঙ্গে সংশ্লিস্ট মোট ৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন হামলা অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা যে কোনো কিছুকে ধ্বংসের জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই পরিস্থিতি সংগঠিত হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC) গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা সমর্থন করে একটি প্রস্তাব পাস করার কয়েক দিনের মধ্যেই। প্রস্তাবে “আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী” মোতায়েন এবং গাজায় একটি “শান্তির বোর্ড” প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে, যা উপকূলীয় অঞ্চলের প্রশাসন তদারকি করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলছে, হামাসের উচিত গাজার নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করা।

হামাসসহ গাজার অন্যান্য ফিলিস্তিনি দল এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে, একে “জাতীয় ইচ্ছার বিরুদ্ধে তৈরি কাঠামো” আখ্যা দিয়ে। মানবাধিকার সংস্থা আল-হক জাতিসংঘের সদস্যদের প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে ভোট দিতে আহ্বান জানায় এবং সতর্ক করে যে এটি ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে।