ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

ভারতীয় পাইলটকে আটক করা সেই পাকিস্তানি মেজর নিহত

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
পাকিস্তানি স্পেশাল ফোর্সের অফিসার মেজর সৈয়দ মুইজ (বামে) ভারতীয় গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্থমান (ডানে)। ছবি- সংগৃহীত

বালাকোট বিমান হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া ভারতীয় যুদ্ধবিমান চালক অভিনন্দন বর্থমানকে আটক করা পাকিস্তানি স্পেশাল ফোর্সের অফিসার মেজর সৈয়দ মুইজ নিহত হয়েছেন।

তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান- টিটিপির হামলায় নিহত হন তিনি। 

গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) তিনি প্রাণ হারান। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এনডিটিভিকে বুধবার (২৬ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে। টিটিপি এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। টিটিপি হলো পাক-আফগান সীমান্তে সক্রিয় একটি সশস্ত্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী।

পাকিস্তানি স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের ৬-কমান্ডো ব্যাটালিয়নে কর্মরত মেজর সৈয়দ মুইজ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সারারোগাহা এলাকায় যুদ্ধরত অবস্থায় নিহত হন বলে জানা গেছে। 

আলোচিত এ মেজরের জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির। তার জানাজা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডির তার নিজ গ্রামের বাড়ি চাকলালা গ্যারিসনে।

তার মৃত্যুর পর জানা যায়, তিনি ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

জিওটিভিতে দেওয়া তার একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি পাইলট অভিনন্দনকে আটকের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন। পরবর্তীকালে পদোন্নতি পেয়ে মেজর হন।

মেজর শাহ ২০১১ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীকালে তিনি স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপে (এসএসজি) যুক্ত হন। মৃত্যুর আগে তিনি ওয়াজিরিস্তানে মোতায়েন ছিলেন।

ভারতীয় গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্থমান (তৎকালীন উইং কমান্ডার) ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বালাকোট আকাশযুদ্ধের সময় একটি পুরোনো মিগ-২১ যুদ্ধবিমান দিয়ে একটি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। 

তবে দুর্ভাগ্যবশত সেই আকাশযুদ্ধের সময় তার বিমানটি পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরে চলে যায়। এরপর তাকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আটক করে। সে সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন স্পেশাল ফোর্সের অফিসার মেজর সৈয়দ মুইজ। ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্থমান প্রায় ৬০ ঘণ্টা পাকিস্তানের হাতে বন্দী ছিলেন।

পরে ভারত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক চাপের মুখে পাকিস্তান তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে তাকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং তিনি ‘বীর চক্র’ লাভ করেন।

পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল। সেখানে একটি মারুতি সুজুকি ইকো ভ্যান ব্যবহার করে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় চল্লিশ সেনা সদস্য নিহত হয়েছিলেন।