অপহরণের দুই দিন পর যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায় স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন কথিত প্রেমিক-প্রেমিকা। আত্মসমর্পণের পর প্রেমিককে পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে আর প্রেমিকাকে রাখা হয়েছে নিরাপদ হেফাজতে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা বেনাপোল পোর্ট থানায় এসে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
ভুক্তভোগী ওই প্রেমিক-প্রেমিকার নাম সুমন হোসেন (২২) ও জাকিয়া (১৪)। সুমন বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘিরপাড় গ্রামের সেলিমের ছেলে এবং জাকিয়া একই থানার কাগমারী গ্রামের জাহিদের মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর কাগমারী কিন্ডারগার্টেনের সামনে থেকে সুমন তার বন্ধুদের সহযোগিতায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়াকে একটি প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই ভিকটিমের মা শিখা খাতুন বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
শিখা খাতুন অভিযোগে বলেন, স্কুল ছুটির পর মেয়ে তার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় সুমন ও তার কয়েকজন সহযোগী মেয়েকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, থানায় উপস্থিত হয়ে জাকিয়া দাবি করে, সে অপহরণ হয়নি। সুমন তার স্বামী এবং তার সঙ্গে পূর্বে বিয়েও হয়েছে। সে আরও জানায়, আগেও একবার স্বেচ্ছায় সুমনের সঙ্গে চলে গিয়েছিল, কিন্তু পরিবারের মেনে না নেওয়ায় আবার ফিরে আসে। সে জানায়, এবারও স্বেচ্ছায় সুমনের সঙ্গে গেছে এবং এখন আর বাবা-মায়ের কাছেও ফিরতে চায় না।
জাকিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, ‘আমার বয়স কম হলেও আমি সুমনের সঙ্গে থাকতে চাই। ওর সঙ্গে না থাকতে দিলে বাবা-মায়ের সঙ্গেও থাকব না। পুলিশ আইন অনুযায়ী যা করবে, আমি তাতে রাজি আছি।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘অভিযুক্ত সুমনকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ভিকটিম জাকিয়াকে তার বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপদ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাকিয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে না থেকে নিরাপদ হেফাজতে থাকতে চায় বলে আদালতে জানায়।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন