যশোরের বেনাপোল আমড়াখালী বিজিবি চেকপোস্টে সোহাগ পরিবহনের এক বাসচালককে বিজিবি সদস্য কর্তৃক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (০৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা বেনাপোল-যশোর মহাসড়ক আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস আমড়াখালী চেকপোস্টে পৌঁছালে বিজিবির তল্লাশির সময় দায়িত্বরত এক বিজিবি সদস্য বাসের চালক মো. অপুকে গাড়িটি পাশে দাঁড় করিয়ে রাখতে বলেন। এ সময় চালক অপু বলেন, ‘আপনি আমাকে যেতে দিন, না হলে সড়কে যানজটের সৃষ্টি ও গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যাচ্ছে। আপনি আপনার কাজটা করেন, আমাকে আমার কাজটা করতে দিন।’ এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে বিজিবি সদস্য চালককে তার সিট থেকে জামার কলার ধরে টেনে গাড়ি থেকে নিচে নামিয়ে এনে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ক্যাম্পের মধ্যে নিয়ে গিয়েও মারধর করা হয়।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে এসে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে আলোচনা শেষে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মারধরের শিকার চালক অপু বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। বিনা কারণে বিজিবির এক জওয়ান আমাকে মেরেছে। ক্যাম্পের মধ্যে নিয়েও মারপিট করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের বেনাপোল কোম্পানীর সুবেদার মাহবুব বলেন, চালককে মারধর করা খুব দুঃখজনক। কীভাবে এ ঘটনা ঘটল আমি বুঝতে পারলাম না। আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে এবং শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে নিয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আলোচনার পর অবরোধ তুলে নিয়েছে শ্রমিকরা। বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন