ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

আ.লীগ-জাতীয় পার্টি ক্ষমা চেয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসুক: মঞ্জু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঝিনাইদহে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) শহরের একটি রেস্টুরেন্টে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল তাদের বিভেদ ভুলে জনগণের কল্যাণে কাজ করুক। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি তাদের ভুল স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসুক। অতীতে বিভেদের রাজনীতি করা বন্ধ করে তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করুক।

সভায় তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের শাসনকাল গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, আদালত, প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী বিতর্কিত ভূমিকায় ধরা দিয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় ঝিনাইদহ-১ আসনে এবি পার্টি মনোনীত অ্যাড: মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনের যুব ইউনিটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান খোকন, ঝিনাইদহ-৩ আসনের মুফতি মুজাহিদুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন। সভায় এবি পার্টির মনোনীত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন ব্যবস্থাই ধ্বংস করা হয়নি বাংলাদেশের আদালত, প্রশাসন, পুলিশ, এমনকি সেনাবাহিনীকেও বিতর্কিত ভূমিকায় সরকার ফেলেছে। গুম খুন করে হাজার হাজার মানুষকে গায়েব করে ফেলা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি কে ধ্বংস করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সম্পদ লুটেপুটে কানাডায় বেগম পাড়া বানানো হয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়া দুবাই সিঙ্গাপুরে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের গণঅভ্যুত্থানে বড় একটা অর্জন হল, জোর করে বাংলাদেশে কেউ ক্ষমতায় থাকলে তার পরিণতি খারাপ হবে।

এখন একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে। আমাদের অনেক আশা ছিল। গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রকে সুন্দর করে গুছিয়ে সমস্ত প্রশাসনকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেশকে একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের বিচার, আহত ও নিহতদের পুনর্বাসনের দাবি করেছি। সংস্কারের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র সুন্দর একটা নির্বাচনের দিকে যাবে এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আমরা দেখলাম নানা ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে আমাদের মধ্যে আজ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠুভাবে হবে কিনা?

আমরা দেখছি তিনটি রাজনৈতিক দলকে সরকার খুশি করার চেষ্টা করছে। তাদের চাপে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অথচ অতীতের তত্ত্ববধায়ক সরকারগুলো এমন ছিলো যে তাদের চাপে রাজনৈতিক দলগুলো দিশেহারা হয়ে পড়তো।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে এবি পার্টির ভুমিকার কারণে সবাই আমাদেরকে সম্মান দিয়েছে। সবাই আমাদেরকে সাধুবাধ জানিয়েছে। আমরা চাই এবি পার্টি আস্তে আস্তে বড় হবে। মানুষের কাছে পৌছাবে।